আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) শিক্ষার বিকাশে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকের করণীয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকের মধ্যে রয়েছে: আইসিটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি: শিক্ষককে প্রথমে আইসিটি এবং এর প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তাদের অবশ্যই বর্তমান প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং তার শিক্ষায় প্রয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করা: শিক্ষককে পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ডিজিটাল টুলস ও সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ইন্টারনেট, ই-লানিং প্ল্যাটফর্ম, ই- বুকস, ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ, ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদি ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম আরও সহজ এবং আকর্ষণীয় করা যায়। শিক্ষার্থীদের আইসিটি শেখানো: শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আইসিটি ব্যবহার করার উপায় শেখাতে পারেন। প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ডেটা বিশ্লেষণ ইত্যাদি দক্ষতা শিক্ষার্থীদের শেখানোর মাধ্যমে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। ইন্টারঅ্যাকটিভ পদ্ধতি অবলম্বন: প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সাথে ইন্টারঅ্যাকটিভ পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করা, যেমন প্রশ্নোত্তর, অনলাইন ডিসকাশন, কুইজ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করা শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। অনলাইন শিক্ষা পরিবেশ তৈরি করা: বর্তমান সময়ে করোনার পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন শিক্ষা গুরুত্ব বেড়ে গেছে। শিক্ষকরা অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পাঠদান নিশ্চিত করতে পারেন। অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা: আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষকদের অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা সম্ভব, যেমন শিক্ষার্থীর অগ্রগতি বা কোনও সমস্যা সম্পর্কে অভিভাবকদের তথ্য দেওয়া। নিজের দক্ষতা বাড়ানো: প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তনশীল, তাই শিক্ষককে নিয়মিতভাবে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে, নতুন প্রযুক্তি শিখতে হবে এবং তার শিক্ষাদানে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া, শিক্ষকরা আইসিটির সাহায্যে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং চিন্তাভাবনার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন।